কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক। কিডনি বিকল রোগীর চিকিৎসা এত ব্যয়বহুল যে, আমাদের দেশে শতকরা ৫ ভাগ লোকেরও দীর্ঘমেয়াদী এই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। সাধারণত ৭০ ভাগ কিডনি নষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত রোগীরা বুঝতেই পারেন না যে তিনি এই ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত। তাই এই ঘাতক ব্যাধি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় অঙ্কুরেই কিডনি রোগ নির্ণয় ও কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা।
কিডনি বিকল প্রতিরোধের ৮টি উপায়ঃ-
১) যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নেফ্রাইটিস বা প্রস্রাবের প্রদাহ আছে – তাদের কিডনি রোগের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। আমাদের দেশে শতকরা ৮০ ভাগ কিডনি এই তিনটি কারণে নষ্ট হয়ে থাকে। তাই –
— ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন।
— উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে (১৩০/৮০ -এর নীচে) রাখুন।
— ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের কিডনির কার্যকারীতা, প্রস্রাবে মাইক্রো অ্যালবুমিন এবং রক্তের ক্রিয়াটিনিন পরীক্ষা প্রতি ৬ মাস অন্তর করানো উচিত।
— প্রস্রাবের ঘন ঘন ইনফেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।
২) শিশুর টনসিলাইটিস, প্রস্রাবে প্রদাহ ও চর্মরোগের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করুন।
৩) ডায়রিয়া, বমি ও রক্ত আমাশয়ের কারণে রক্ত, পানি ও লবণ শুন্য হয়ে কিডনি বিকল হতে পারে, তাই দ্রুত খাবার স্যালাইন খেতে হবে। প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে।
৪) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রত্যেকের উচিত প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করা।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক ও তীব্র ব্যথার ঔষধ সেবন না করা।
৬) পাঁচ রঙের সবজি ও বেশী করে ফল খাবেন।
৭) চর্বি জাতীয় খাবার ও লবণ কম খাবেন। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ৫ গ্রাম লবণ (এক চা চামচ পরিমাণ) খাওয়াই যথেষ্ট।
৮) পর্যাপ্ত পানি পান করুন। মনে রাখতে হবে, প্রস্রাবের রঙ যেন পানির মতো হয়।