নিম্নোক্ত সহজ ৫টি নিয়ম মেনে চললে টাইপ-২ ডায়াবেটিস অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়ঃ-

১) কম বয়স থেকেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। খাবার কতটা খাচ্ছেন তার চাইতে অধিক জরুরী হল কি খাচ্ছেন। আঁশযুক্ত খাবার বেশী করে খান। খান জটিল শর্করা। যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন চিনি, রিফাইন্ড শর্করা, সম্পৃক্ত চর্বি ও ফাস্টফুড।

২) দৈহিক ওজন স্বাভাবিক রাখা অর্থাৎ, বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন যা হওয়া উচিত তার চেয়ে ওজন যাতে অধিক না হয়। লক্ষ্য রাখুন, পেটের চর্বি যেন বেড়ে না যায়।

৩) নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করা। যেমন – হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, খেলাধূলা করা ইত্যাদি।

৪) ধূমপান পরিহার করা।

৫) মদ্যপান না করা।

অপরদিকে এখন পর্যন্ত টাইপ-১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের যে উপায়গুলো জানা গেছে সেগুলো হলঃ-

১) নির্দিষ্ট কিছু ভাইরাসের বিরুদ্ধে শিশুদের ছোটবেলায় সময়মতো নির্দিষ্ট কিছু টীকা দেওয়া। যেমন – মাম্পস, রুবেলা, সাইটোমেগালো ভাইরাস, কক্সস্যাকি বি-৪ ভাইরাস ইত্যাদি।

২) ছোটবেলায় শিশুকে গরুর দুধ না খাওয়ানো। কারণ, গরুর দুধে থাকা বোভাইন সেরাম অ্যালবুমিন (BSA) অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

৩) সায়ানাইড বা নাইট্রোসামাইন রাসায়নিকযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা। এসব রাসায়নিক অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে টাইপ-১ ডায়াবেটিস সৃষ্টি করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − seven =