ডায়াবেটিস রোগের কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে, রোগ হয়েছে এরকম সন্দেহ হলে অথবা উপসর্গ নেই এমন মানুষ নির্দিষ্ট একটা বয়স অতিক্রম করলে ডায়াবেটিসের জন্য পরীক্ষা করা জরুরী।

ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয়ের নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হল পরীক্ষাগারে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মেপে দেখা। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মাপা হয় তিনভাবে –

১) খালি-পেটে বা ফাস্টিং ব্লাড সুগার।

২) খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পর বা পোস্টপ্র্যান্ডিয়াল ব্লাড সুগার।

৩) যে কোনও সময় বা ব়্যানডম ব্লাড সুগার।

ফাস্টিং ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে হয় সকালে খালি পেটে এবং এক্ষেত্রে তিনটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন –

১) রক্ত পরীক্ষার পূর্বে কমপক্ষে আট ঘন্টা কোন খাবার না খাওয়া।

২) ওই আট ঘন্টা ব্যায়াম বা পরিশ্রম না করা।

৩) ওই সময় ধূমপান না করা।

ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয়ের জন্য ফাস্টিং ব্লাড সুগার মাপা হল সবচাইতে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শই শেষ কথা।

অতএব, আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে এমন কথা তখনই বলা যাবে যদি আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাঃ-

খালিপেটেঃ ৭ মিলিমোল/লিটার (১২৬ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার) বা -এর বেশী হয়।

পোস্টপ্র্যান্ডিয়ালঃ ১১.১ মিলিমোল/লিটার (২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার) বা -এর বেশী হয়।

ব়্যানডমঃ ১১.১ মিলিমোল/লিটার (২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার) বা -এর বেশী হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × three =