প্রথমবার হার্ট অ্যাটাকে বেঁচে থাকা মানুষ দ্বিতীয়বার অ্যাটাকে আক্রান্ত হবেন কি না এবং এর ঝুঁকি কতটা, এটা নির্ভর করে প্রথমবার অ্যাটাকের পর ঐ ব্যক্তি কতটা কঠোরভাবে হৃদবান্ধব জীবনযাত্রা মেনে চলেছেন, কতটা সেরে উঠেছেন তিনি আর চিকিৎসায় তিনি কতটা নিয়মিত তার ওপর।
হার্ট অ্যাটাকের পর কঠোর, সংযমী জীবনযাপন আর নিয়মিত যোগাভ্যাসে দীর্ঘকাল সুস্থভাবে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু নিয়মকানুন না মানলে বা অসংযমী জীবনযাপন করলে দ্বিতীয় অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হতে পারে যে-কোন সময়।
প্রথমবার হার্ট অ্যাটাকের পর যে নিয়মগুলো মেনে চলতে বলা হয় সেগুলো হল –
১) ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দেওয়া।
২) শরীর সহ্য করতে পারে এমনভাবে কাজ করা। আকষ্মিক পরিশ্রম যেমন দৌড়ে বাস ধরা, বাসে ঝলতে ঝুলতে যাওয়া, খুব জোরে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, ভারী বস্তু তোলা, মাঠে পরিশ্রমসাধ্য খেলায় খেলতে নেমে যাওয়া, পাহাড়ি পথে ওঠা, ভারী ওজন নিয়ে হাঁটা, একটানা অনেকক্ষণ ধরে কাজ করা ইত্যাদি পুরোপুরি এড়িয়ে চলা।
৩) সকাল বা বিকালে মাঠে, পার্কে বা ফাঁকা রাস্তায় কিছুটা হাঁটা। তবে কাজেকর্মে রোজ খানিকটা হাঁটতে হয় এমন ব্যক্তির এরকম আলাদা করে হাঁটার দরকার হয় না।
৪) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করা। চর্বি, লবণ, কোলেস্টেরলে ঠাসা খাবার, ভাজাভুজি, আইসক্রিম, তৈরী টিনজাত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা।
৫) একবারে কখনও খুব বেশী পেট ভরে না-খাওয়া।
৬) বাথরুম করতে গিয়ে চাপ প্রয়োগে বাথরুম না করা।
৭) রোজ একটা নির্দিষ্ট ছন্দ ধরে কাজকর্ম সারা, অর্থাৎ সময়ে গোসল, সময়ে খাওয়া-দাওয়া, সময়ে ঘুমোতে যাওয়া। এই ব্যাপারে অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলা।
৮) টেনশন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা। বিবাদবিতর্ক, হইহট্টগোল, তর্কবিতর্ক, দীর্ঘসময় জুড়ে একটানা কথা বলা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।
৯) ওজন স্বাভাবিক রাখা। রক্তে সুগার, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
১০) খুব বেশী শুয়ে বসে থাকা, আড্ডা দেওয়া, বেশী রাত জাগা, রাত করে খাওয়া, রাত জেগে কাজ করা ইত্যাদি এড়িয়ে চলা।