নিম্নের বিষয়গুলোর যে কোনটি কারো থেকে থাকলে তার টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। এগুলোকে বলে ডায়াবেটিসের রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকি।
১) বয়স ৪০ বছরের বেশী হলে।
২) শরীর বেশী মোটা (অর্থাৎ বি. এম. আই. ২৫ -এর বেশী) হলে।
৩) পরিবারে বাবা-মা, ভাই কিংবা বোনের কারো ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে।
৪) নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকলে।
৫) চর্বি জাতীয় খাবার বেশী এবং আঁশযুক্ত খাবার কম খেলে।
৬) যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে ও রক্তে কোলেস্টেরল বেশী তাদের।
৭) গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে।
৮) বেশী ওজনের শিশু প্রসবের ইতিহাস থাকলে।
৯) যাদের রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী অথচ ডায়াবেটিসের মাত্রার চেয়ে কম তাদের।
অপরদিকে, যাদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস হয়, তারা -এর বীজ নিয়েই জন্মান। বংশগতভাবে এই অসুখ হওয়ার অধিক সম্ভাবনা নিয়েই তাদের জন্ম হয়। অর্থাৎ এটা জেনেটিক ব্যাপার। তবে ডায়াবেটিসের জিনের সঙ্গে পরিবেশের নন-জেনেটিক কোনো ঘটনা ক্রিয়া থাকতে হয়। যেমন – শৈশবে রোগদূষণ, খাদ্য, টীকা, ভাইরাস সংক্রমণ এবং নানারকম অধিবিষ।